Header Ads

Header ADS

ঢাকার বিখ্যাত টুরিস্ট স্পট সমূহ | Famous Tourist Spots in Dhaka



চারটি ভিন্ন নদী দ্বারা আবদ্ধ, ঢাকা একটি মেগাসিটি যা বাংলাদেশের রাজধানী এবং পূর্ব দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং বৈজ্ঞানিক কেন্দ্র। পর্যটন স্থান এবং সুন্দর গাঙ্গেয় ব-দ্বীপে প্রতিফলিত সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ইতিহাসের সাথে, ঢাকা বাংলাদেশ ভ্রমণ অত্যন্ত উপভোগ্য ।


ঢাকা এর দর্শনীয় স্থানসমূহ:

১. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরঃ

স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের যে বাড়িতে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় কাটিয়েছেন, স্বাধিকারের সংগ্রামে জাতিকে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন, সে বাড়িটি আজ তাঁর নানা স্মৃতিচিহ্ন বহন করছে। বর্তমানে এটি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর।  


২. বঙ্গভবনঃ

বঙ্গভবন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধানের (রাষ্ট্রপতি) সরকারী বাসভবন। স্থাপনাটি দেশের রাজধানী ঢাকাতে অবস্থিত। প্রাসাদটি মূলত বৃটিশ ভাইসরয় অফ ইন্ডিযার অস্থায়ী বাসস্থান হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত স্থাপনাটি পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের বাসস্থান হিসেবে ব্যবহৃত হতো।বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে ১৯৭২ সালের জানুয়ারি ১২ তারিখে গভর্নর হাউসের নাম পরিবর্তন করে বঙ্গভবন করা হয়।


৩. গণভবনঃ

ঢাকার শের-ই-বাংলা নগরের বি-ব্লকের ৫ নং প্লটে অবস্থিত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন যা গণভবন নামে পরিচতি। পূর্বে এর আয়তন ছিল ২২ একর। বর্তমানে মুল ভবনের আয়তন ১৫ একর। বিশ্ববিখ্যাত স্থাপতি মিঃ লুই কান এর থিউরি মতে উন্নতমানের সিরামিক ইটে নির্মান করা হয়েছে গণভবন।  


৪. আহসান মঞ্জিল (ইসলামপুর):

আহসান মঞ্জিল পুরনো ঢাকার ইসলামপুরে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। এটি পূর্বে ছিল ঢাকার নবাবদের প্রাসাদ। বর্তমানে এটি জাদুঘর হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর প্রতিষ্ঠাতা নওয়াব আবদুল গনি। তিনি তার পুত্র খাজা আহসানুল্লাহ’র নামানুসারে এর নামকরণ করেন। এর নির্মাণকাল ১৮৫৯-১৮৭২ সাল। ১৯০৬ সালে এখানে এক অনুষ্ঠিত বৈঠকে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হয়। আহসান মঞ্জিল কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। সর্বশেষ সংস্কার করা হয়েছে অতি সম্প্রতি। এখন এটি একটি জাদুঘর।অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে জালালপুর পরগনার জমিদার শেখ ইনায়েতউল্লাহ আহসান মঞ্জিলের বর্তমান স্থান রংমহল নামে একটি প্রমোদভবন তৈরি করেন। (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর)-(শনিবার-বুধবার) সকাল ১০.৩০ টা – বিকাল ৫.৩০ টা। শুক্রবার- বিকেল ৩.০০ টা – সন্ধ্যা ৭.৩০ টা। শীতকালীন সময়সূচী: (অক্টোবর – মার্চ) – (শনিবার-বুধবার) সকাল ৯.৩০ টা – বিকাল ৪.৩০ টা। শুক্রবার – দুপুর ২.৩০ টা – সন্ধ্যা ৭.৩০ টা। বৃহস্পতিবার – সাপ্তাহিক ছুটি ও অন্যান্য সরকারি ছুটির দিন জাদুঘর বন্ধ থাকবে।


 ৫. কার্জন হল:

বঙ্গভঙ্গ ঘোষিত হওয়ার পর প্রাদেশিক রাজধানী হিসেবে ঢাকাকে গড়ে তোলার জন্য রমনায় ও অন্যান্য অঞ্চলে যেসব ইমারত নির্মাণ করা হয়েছিল কার্জন হল তার মধ্যে অন্যতম। ১৯০৪ সালে ভারতবর্ষের ভাইসরয় লর্ড কার্জন এই ইমারতটি নির্মাণ করেছিলেন। প্রাথমিকভাবে এটি একটি দৃষ্টিনন্দন টাউন হল হিসেবে স্থাপন করা হয় কিন্তু বঙ্গভঙ্গ হওয়ার পর এখানে একটি কলেজ স্থাপন করা হয় যার নামকরণ হয় ‘ঢাকা কলেজ’ এবং ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হলে এর অধীনে চলে আসে। তখন থেকেই এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ক্লাশ এবং পরীক্ষার হল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।


 ৬. বাহাদুর শাহ পার্ক:

পুরানো ঢাকার সদর ঘাটের সন্নিকটে দাঁড়িয়ে আছে ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ্ পার্ক। এর পশ্চিমে সাবেক ষ্টেট ব্যাংক ভবন ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এবং উত্তর পশ্চিমে জেলা আদালত অবস্থিত। এর পূর্বনাম ছিল ভিক্টোরিয়া পার্ক। ১৯৬২ সনে স্থানটি সংস্কার সাধন করে ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিপ্লবে শহীদ বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে সিপাহী যুদ্ধের ঐক্যের প্রতীক শেষ মোঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ্ জাফরের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়।


 ৭. লালবাগের কেল্লা:

লালবাগের কেল্লা মোগল আমলের ঐতিহাসিক নিদর্শন। মোগল আমলে বাংলায় নির্মিত ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে ঢাকার বুড়িগঙ্গার তীরে অবস্থিত লালবাগের কেল্ল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পুরাকীর্তি। কেল্লার ভিতরে তিনটি পুরাকীর্তি রয়েছে। পরীবিবির মাজার, দরবার ঘর ও হাম্মামখানা এবং তিন গম্বুজওয়ালা মসজিদ। চারদিকে উঁচু প্রাচীনঘেরা এ কেল্লা দেখলে হঠাৎ মনে হয় লাল মাটির তৈরি।

পরীবিবির মাজারঃ

পরীবিবির পরিচয় নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তবুও বেশীরভাগ ঐতিহাসিকগন মনে করেন তিনি ছিলেন সম্রাট আওরঙ্গজেবের ছেলে শাহজাদা আজমের স্ত্রী। ঐতিহাসিকদের মতে, মাজার নির্মাণ করা হয়েছে ১৬৮৮ সালের আগে। দরবার ঘর থেকে প্রায় নব্বই গজ পশ্চিমে পরীবিবির মাজার। এটি বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য একটি পুরাকীর্কি। হিন্দু ও মুসলিম স্থাপত্যের চমৎকার মিশ্রণ রয়েছে এতে। বলা হয়ে থাকে, সম্রাট হুমায়ুনের মাজারের অনুকরণে নির্মাণ করা হয়েছিল আগ্রার তাজমহল আর তাজমহলের অনুকরণে নির্মাণ করা হয়েছে পরীবিবির মাজার। পার্থক্য শুধু আয়তনে।  


 ৮. কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার:

১৯৫২ সালের  ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে নির্মিত শহীদ মিনার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অবস্থিত। ভাষা সংগ্রামের প্রতীক এ শহীদ মিনারে প্রতিবছর আপাময় জনতা ২১ ফেব্রুয়ারী ফুলে ফুলে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ২১ তারিখের প্রথম প্রহরে (রাত ১২টা ১ মিনিটে) গণ-প্রজাতন্ত্রী  বাংলদেশের মান্যবর রাষ্ট্রপতি এবং গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদনের মাধ্যমে শুরু হয় অমর ভাষা শহীদদের প্রতি সমগ্র জাতীর গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। বর্তমানে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসাবে সারাবিশ্বে পালন করা হচ্ছে।


 ৯. শাঁখারী বাজার:

শাঁখারীদের তৈরী শাঁখা ও শঙ্খের জন্য বিখ্যাত ছিল ঢাকা। ঢাকায় শাঁখারীদের আবাসিক এলাকা শাঁখারীবাজার এখনও বহন করেছে সেই ঐতিহ্য ও স্মৃতি। ১৬০৮ খ্রিষ্টাব্দে হিন্দু সম্প্রদায় শাখা শিল্পসমেত শাঁখারী বাজারের গোড়াপত্তন করে। এখনো প্রায় ৭০-৮০ টি পরিবার শাখা শিল্পের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। শাখারী বাজারে রয়েছে প্রাচীন যুগের অনেকগুলো বাড়ি। শাঁখারী বাজার বাংলাদেশে সরকার ঘোষিত একটি হেরিটেইজ। এখানে বিদেশী পর্যটকগণ শাঁখারী বাজারের ঐতিহ্য দেখতে আসেন।


 ১০. নিমতলী কুঠি:

নিমতলি কুঠি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের নিমতলি এলাকায় অবস্থিত একটি মুঘল আমলের প্রাসাদ। এটি মুঘল আমালের শেষদিকে ১৭৬৬ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল। ঢাকার নায়েবে নাজিম (ডেপুটি গভর্ণর) জেসারত খানের জন্য নিমতলিতে এই প্রাসাদটি নির্মান করা হয়। পরবর্তীতে অন্যান্য নায়েবে নাজিমরাও এই প্রাসাদকে বাসভবন হিসাবে ব্যবহার করেছেন।

 

১১. তাঁতী বাজার:

মুঘল আমলে প্রতিষ্ঠিত তাঁতীদের বাসস্থানের নামই তাঁতী বাজার। এস্থানে মোঘল আমলের অনেক স্থাপনা রয়েছে। বর্তমানে তাঁতী বাজার পুুরাতন ঢাকার অন্তর্গত একটি ঐতিহ্যবাহী স্বর্ণের বাজার।  প্রায় দেড় শতাব্দী আগে ব্রিটিশ শাসনামলে এই বাজারের গোড়াপত্তন হয়। বর্তমানে এখানে কয়েক হাজার স্বর্ণ ও বন্ধকী দোকান রয়েছে। তাঁতী বাজার মূলতঃ সোনা রূপার দোকানের জন্য বিখ্যাত। বাংলাদেশের অন্যতম জুয়েলারী মার্কেট হিসেবে তাঁতী বাজারের সুনাম রয়েছে। এই বাজারে প্রায় ১২০০ জুয়েলারী দোকান আছে।

 

১২.বাবু বাজার:

পুরান ঢাকায় অবস্থিত বাবুবাজারের ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। এ এলাকাটি ছিল জমিদার জগন্নাথ রায় বাবুর অধীন। এস্থানে জমিদার আমলের অনেক স্থাপনা রয়েছে। কালের বিবর্তনে এ স্থানের নাম জগন্নাথ বাবুর নামেই ‘বাবু বাজার’ হয়েছে।

 

১৩. বাংলা বাজার:

বাংলা বাজার ঢাকার সবচেয়ে পুরান বনেদী  এলাকা, যা মুঘল যুগের পূর্বেও ছিল। অনেকে মনে করেন সুলতানী আমলে যখন বাঙ্গালা শব্দটি জনপ্রিয় হয়েছিল তখন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল বাংলা বাজার।

 

১৪. বিবি মরিয়ম কামান:

১৭ শতকের গোড়ারদিকে সম্রাট জাহাঙ্গীর ঢাকায় বাংলার রাজধানী স্থাপন করলে রাজধানী ঢাকার প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করতে বেশ কিছু কামান তৈরি করা হয়। এসব কামানের মধ্যে “কালে খাঁ জমজম” ও “বিবি মরিয়ম” বিশালত্বে, নির্মাণশৈলীতে ও সৌন্দর্যে ভারতখ্যাত হয়ে ওঠে । কালে খাঁ বুড়িগঙ্গা নদীতে তলিয়ে গেলে বিবি মরিয়ম হয়ে ওঠে দর্শনীয় বস্তু। বিবি মরিয়মের দৈর্ঘ্য ১১ ফুট। মুখের ব্যাস ৬ ইঞ্চি। ঢাকার কামান তৈরীর কারিগর জনার্ধন কর্মকার অত্যন্ত শক্ত পেটানো লোহা দিযে কামানটি তৈরী করেন।

 

১৫. হোসনী দালান:

হযরত ইমাম হোসেন (রা.)-এর কারবালার শোকাবহ ঘটনার স্মরণে নির্মিত অপরূপ স্মৃতিসৌধ হোসনী দালান ১৬৪২ সালে নির্মিত হয় ঢাকার নিমতলীর কাছে। এখানে রয়েছে হোসনী দালান, ইমামবাড়া, পুকুর মাকবারা-ই নায়ের নাজিম স্থানে ৮টি কবর, ইমাম হাসান (রা.) ও ইমাম হোসেন (রা.)-এর কবরের প্রতিকৃতি। হোসেনী দালান বা ইমামবাড়া একটি শিয়া উপাসনালয় এবং কবরস্থান। বিকল্প উচ্চারণ হুস্নী দালান এবং ইমারতের গায়ে শিলালিপিতে ফারসী ভাষায় লিখিত কবিতা অনুসারে উচ্চারণ হোসায়নি দালান। 

 ১৬. পুরনো হাইকোর্ট ভবনঃ

রেনেসাঁ স্থাপত্যের অনুকরণে, বিশ শতকের গোড়ার দিকে ইংরেজ শাসক কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল এই ভবনটি। পূর্ববঙ্গ ও আসাম সরকারের গভর্নরের বাসভবন হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছিল এ ভবনটি। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর এখানে স্থাপনা করা হয়েছিল হাইকোর্ট।

 

১৭.পূর্ব বাঙ্গালা ব্রাক্ষন সমাজ মন্দির:

 ১৮৪৬ সালের ৬ই ডিসেম্বর ঢাকার কুমারটুলীর গোলাম মিস্ত্রির বাড়িতে স্থাপিত হয়েছিল পূর্ব বাংলার প্রথম ব্রাম্মসমাজ। এ মন্দির থেকে ব্রাম্ম আন্দোলন শুরু হয়ে পরবর্তীতে তা পূর্ববঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছিল।

 

১৮.চক বাজার:

এটি মুঘল আমলে পুরান ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত একটি বাজার। মুঘল সেনাপতি মানসিংহ এটি প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে মুঘল আমলের অনেক স্থাপত্য নিদর্শন এবং মুঘল আমলের ঐতিহ্যবাহী খাবার-দাবারের সুনাম রয়েছে।

 

১৯. আরমানী টোলা:

মুঘল শাসনামলে ভাগ্য পরিবর্তনে আসা আর্মেনীয়রা এখানে এসে বাস করে বলে এ অঞ্চলের নাম আর্মেনীটোলা।  এখানে আর্মেনীয়দের গীর্জাসহ কিছু স্থাপনা রয়েছে।

 

২০. জাতীয় সংসদ ভবন:

ঢাকার শের-এ-বাংলা নগরে অবস্থিত প্রখ্যাত আমেরিকান স্থপতি লুই আই কান এর প্রস্তুতকৃত ডিজাইনে ২০৮ একর জমির উপর  নির্মিত জাতীয় সংসদ ভবন  এ উপমহাদেশের অন্যতম স্থাপত্য নিদর্শন। জাতীয় সংসদ ভবন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের প্রধান ভবন। এটি ঢাকার শেরে-বাংলা নগর এলাকায় অবস্থিত। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত আটটি সংসদ নির্বাচনের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় নির্বাচনের পর গঠিত সংসদের অধিবেশনগুলি অনুষ্ঠিত হয় পুরনো সংসদ ভবনে, যা বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তৎকালীন পাকিস্তান সরকার পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) ও পশ্চিম পাকিস্তানের (বর্তমান পাকিস্তান) জন্য আইনসভার জন্য জাতীয় সংসদ ভবনের নির্মাণ শুরু হয় ১৯৬১ সালে। ১৯৮২ সালের ২৮শে জানুয়ারি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর একই বছরের ১৫ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সংসদের অষ্টম (এবং শেষ) অধিবেশনে প্রথম সংসদ ভবন ব্যবহৃত হয়।

 

২১. তিন নেতার সমাধিঃ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের সন্নিকটে দোয়েল-চত্বরের কাছে অবস্থিত তিন নেতার সমাধি। ঐতিহাসিক হাজী শাহবাজ মসজিদের (১৬৭৯) পাশেই স্থাপিত এটি ‘জাতীয় তিন নেতার সমাধিসৌধ। জাতীয় এ তিন নেতারা হলেন শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক (জন্ম ১৮৭৩-মৃত্যু ১৯৬২), হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী (জন্ম ১৮৯২-মৃত্যু ১৯৬৩) ও সাবেক পূর্ববঙ্গের (র্বতমান বাংলাদেশ) মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমদ্দুীন (জন্ম ১৮৯৪-মৃত্যু ১৯৬৪) এ তিন নেতা চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন এ মাজারে। দক্ষিণে আছেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাঝে খাজা নাজিমদ্দুীন ও উত্তরে শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের সমাধি।

 

২২. বড় কাটরাঃ

মুঘল রাজধানী ঢাকার চকবাজারের দক্ষিণে বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে অবস্থিত। মধ্য এশিয়ার ক্যারাভান সরাই-এর ঐতিহ্য অনুসরণে নির্মিত বড় কাটরা দারুণভাবে সুরক্ষিত এবং মুঘল রাজকীয় স্থাপত্য-রীতির বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। ভবনটি ১৬৪৩-১৬৪৫ সালের ভিতর নির্মিত হয়। বড় কাটরা পুরান ঢাকার একটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা হিসেবে এখনো সুপরিচিত। মুঘল আমলে এটি নায়েবে নাজিমদের বাসস্থান তথা কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হত।

 

২৩. ছোট কাটরাঃ

ছোট কাটরা শায়েস্তা খানের আমলে তৈরি একটি ইমারত। আনুমানিক ১৬৬৩ – ১৬৬৪ সালের দিকে এ ইমারতটির নির্মান কাজ শুরু হয় এবং তা ১৬৭১ সালে শেষ হয়েছিল। এটির অবস্থান ছিল বড় কাটারার পূর্বদিকে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে। ইমারতটি দেখতে অনেকটা বড় কাটারার মত হলেও এটি আকৃতিতে বড় কাটারার চেয়ে ছোট এবং এ কারণেই হয়তো এর নাম হয়েছিল ছোট কাটারা। তবে ইংরেজ আমলে এতে বেশ কিছু সংযোজন করা হয়েছিল। শায়েস্তা খানের আমলে ছোট কাটরা নির্মিত হয়েছিল সরাইখানা বা প্রশাসনিক কাজে ব্যবহারের জন্য।

 

২৪. রূপলাল হাউজঃ

অষ্টাদশ শতকের শেষের দিকে  নির্মিত পুরান ঢাকায় অবস্থিত একটি মনোরম ও বৃহৎ অট্টালিকা। ধারনা করা হয় ঢাকার একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শ্রী রুপলাল দাস তার পরিবার সহ বসবাসের জন্য ইমারতের নকশা তৈরী করেন। পরবর্তীতে তিনি এই অভিজাত ও রাজকীয় রুপলাল হাউজ নির্মাণ করেছিলেন। অতঃপর তার উত্তরাধিকারীদের প্রয়োজনে বিভিন্ন সময়ে এ ইমারত ধীরে ধীরে রুপলাল হাউজের সম্প্রসারণের কাজ করতে থাকে। রূপলাল হাউস ঔপনিবেশিক আমলে নির্মিত রেনেসাঁ যুগের ইউরোপীয় স্থাপত্যের একটি চমৎকার উদাহরণ।

 

২৫. রমনা রেসকোর্স/সোহরাওয়ার্দী উদ্যানঃ

ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলে রমনা রেসকোর্স ময়দানের নাম ছিল ‘রমনা জিমখানা’। সে সময় রমনায় ছিল ব্রিটিশ সৈন্যদের একটি সামরিক ক্লাব। তারপর ১৬১০ সালে মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলে সুবেদার ইসলাম খান রাজধানী প্রতিষ্ঠা করে ঢাকা উত্তর শহরতলিতে দুটি চমৎকার আবাসিক এলাকা প্রতিষ্ঠা করেন। একটি তার ভাইয়ের নামে ‘মহলা চিশতিয়া’ এবং অন্যটি তার সেনাধ্যক্ষ সুজা খানের নামানুসারে ‘মহলা সুজাতপুর’ এলাকার নামকরণ করেন। মুঘল সাম্রাজের পতনের পর রমনা ধীরে ধীরে তার পুরনো গৌরব হারিয়ে ফেলে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে রমনা ছিল একটি জঙ্গলাকীর্ণ পরিত্যক্ত এলাকা। ১৮২৫ সালে ঢাকার ব্রিটিশ কালেক্টর মি. ডয়েস ঢাকার উন্নয়নকল্পে কয়েকটি বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি পুরো রমনা এলাকা পরিষ্কার করে নাম দেন রমনা গ্রিন। তারপর রমনাকে রেসকোর্স হিসেবে ব্যবহারের জন্য কাঠের বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলেন। প্রতি রোববার রেসকোর্স ময়দানে অনুষ্ঠিত হতো বৈধভাবে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা। তখন থেকেই ঢাকা আবার তার পুরনো গৌরব ফিরে পেতে শুরু করে।

 

২৬. বধ্যভূমি স্মৃতি সৌধঃ

মুক্তিযুদ্ধ বিজয়ের উষালগ্নে পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার আলবদর বাহিনীর বাঙালি-বুদ্ধিজীবী নিধনের স্থান ছিল রায়েবাজার বধ্যভূমি। যেখানে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে বাঙালি জাতির বিবেক, চেতনা, মননশীলতা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক ও বাহক- এ মাটির শ্রেষ্ঠ সন্তান- বুদ্ধিজীবীদের। পরিত্যক্ত ইটের ভাটার এ বধ্যভূমি থেকে আজো ভেসে আসে শৃংখলিত হাত পা, উৎপাটিত চোখ, বেয়নেটবিদ্ধ শহীদের আর্তনাদ; শোনা যায় স্বাধিকার প্রত্যাশী প্রতিবাদী কণ্ঠের গোঙানি আর মানুষরূপী রক্তলোলুপ হায়েনার মারণ-উল্লাস।

 

২৭. শহীদ বুদ্ধিজীবি গোরস্থানঃ

মিরপুর এলাকায় গাবতলী মাজার সড়কের পশ্চিমে অবস্থিত। শহীদদের স্মরণে  তিনটি থামের সমন্বয়ে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে।  চারদিকে বাগান রয়েছে। বাগানে ভিতরে পায়ে চলা পথ ও বসার ব্যবস্থা রয়েছে। একাত্তরের রাজাকাররা অবরুদ্ধ বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সক্রিয় বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীদের তালিকা প্রণয়ন করে পাকিস্তানি সেনাপতি মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলির কাছে দিয়েছিল। সেই তালিকা অনুযায়ী আলবদর বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধের শেষলগ্নে দেশের মাথা, সেরা বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীদের গোপন আবাস থেকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে প্রথমে মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে আলবদর ঘাঁটিতে স্থাপিত ‘টর্চার সেন্টারে’ নির্মম দৈহিক নির্যাতনের পর ও মিরপুর গোরস্থানে ও রায়েরবাজার বধ্যভূমি নিয়ে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছিল।

 

২৮. জিনজিরা প্রাসাদঃ

সোয়ারীঘাট সংলগ্ন বড় কাটরা প্রাসাদ বরাবর বুড়িগঙ্গার ওপারে জিনজিরা। জিনজিরা-জাজিরার অপভ্রংশ, যার অর্থ আইল্যান্ড বা দ্বীপ। এ দ্বীপে ১৬২০-২১ খ্রিস্টাব্দে জিনজিরা প্রাসাদ ‘নওঘরা’ নির্মাণ করেছিলেন তৎকালীন সুবেদার নওয়াব ইব্রাহিম খাঁ। আজ থেকে প্রায় ৪০০ বছর আগে শহর থেকে জিনজিরার মধ্যে চলাচলের জন্য একটি কাঠের পুল ছিল। কয়েক একর জমির ওপর এ প্রাসাদ নির্মাণ করা হয়েছিল অবকাশ যাপন ও চিত্তবিনোদনের প্রান্তনিবাস হিসেবে।  চার দিকে সুনীল জলরাশির মাঝখানে একখ- দ্বীপ ভূমি জিনজিরা।

 

২৯. রোজ গার্ডেনঃ

ঢাকা শহরস্থ সূত্রাপূর থানার এলাকাধীন ১৩ কে. এম. দাস লেন সংলগ্ন ভূমিতে রোজ গার্ডেন নামক সংরক্ষিত ঐতিহাসিক ইমারতের অবস্থান।  উনিশ শতকের শুরুর দিকে ঢাকার একজন বেশ নামকরা জমিদার ছিলেন হৃষিকেশ দাস! সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসছিলেন তিনি, তাই ঢাকার খানদানি পরিবার গুলো তাকে তেমন পাত্তা দিত না। কথিত আছে, একবার তিনি সে সময়ের ঢাকার বিখ্যাত বলধার জমিদার নরেন্দ্র নারায়ন রায় চৌধুরীর বাগানবাড়ি বলধা গার্ডেনের এক জলসায় গিয়েছিলেন! সেখানে সে কোনভাবে প্রচন্ড অপমানিত হয়েছিলেন! এরই প্রেক্ষিতে তিনি বলধা গার্ডেনের চাইতে অনেক বেশি সুন্দর এমন এক বাগান বাড়ি বানাতে চাইলেন যাতে চারিদিকে আলোড়ন পরে যায়।

 

৩০. লালকুঠিঃ

এটি নর্থব্রুক হল নামেও পরিচিত। বুড়িগঙ্গার পাড় ঘেঁষে  ফরাশগঞ্জ মহল্লায় অবস্থিত। ইমারতটিকে বাইরের দিক থেকে পিরামিডের মত মনে হয়। মাঝের হল ঘরটির উপরে রয়েছে মোঘল ধাঁচে তৈরী একটি আদর্শ গম্বুজ।  গোটা ইমারতটি লাল রঙে রঙিন বলে এর নাম হয়েছে লালকুঠি। এর স্থাপত্যশৈলীতে মুঘল ও ইউরোপীয় প্রথাসিদ্ধতার অপূর্ব সংমিশ্রণ ঘটেছে। বাংলায় ঔপনিবেশিক আমলে নির্মিত ধর্মনিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান ও ভবনগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় বা গভর্নর জেনারেল লর্ড নর্থব্রুক (১৮৭২-৭৬ খ্রিঃ) ১৮৭৪ সালে এক সফরে ঢাকায় এসেছিলেন। নর্থব্রুকের এই ঢাকা সফরকে স্মরণীয় করে রাখার জন্যে ঢাকার প্রখ্যাত ধনী ব্যক্তি ও জমিদারগণ ‘টাউন হল’ ধাঁচের একটি হল নির্মাণের উদ্যোগ নেন। সে সময় রাজা রায় বাহাদুর ও দানশীল প্রখ্যাতনামা ধনী ও জমিদারগণ দশ হাজার পাঁচ হাজার করে প্রচুর চাঁদা দানের মাধ্যমে এই হলের নির্মাণ তহবিল গঠন করেন।

 

৩১. বিবি চম্পার মাজারঃ

পুরানো ঢাকায় অবস্থিত ছোট কাটরার ভিতরে বিবি চম্পার মাজার অবস্থিত। জনশ্রুতি অনুযায়ী শায়েস্তা খান যখন ঢাকায় ছিলেন তখন বিবি চম্পা নামে তার একজন উপ-পত্নী ছিলেন। বিবি চম্পার কবরের ওপর শায়েস্তা খান একটি স্মৃতিসৌধও নির্মাণ করেন। এক গম্বুজ, চার কোণা, প্রতিপাশে ২৪ ফুট দীর্ঘ ছিল স্মৃতিসৌধটি। তায়েশ লিখেছেন, ‘পাদ্রী শেফার্ড ওটা ধ্বংস করে দিয়েছেন।’ শেফার্ড বোধ হয় কবরটি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছেন। বিবি চম্পা কে ছিলেন তা সঠিক জানা যায় নি।

 

৩২. কমলাপুর রেলস্টেশনঃ

ঢাকা তথা দেশের অন্যতম আধুনিক স্থাপত্য নিদর্শন কমলাপুর রেলস্টেশন। ঢাকার মতিঝিলে অবস্থিত এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহত্তম এবং কেন্দ্রীয় রেলষ্টেশন। এখানে পারিসারিক ও কারিগরী উদ্ভবনার চূড়ান্ত মিল ঘটানো হয়েছে। রেল স্টেশনে কতগুলো ছাড়াছাড়া দালানকে ফুলের পাপড়ির আকৃতিযুক্ত ছাউনি দিয়ে ঢেকে এক ছাদের তলে একসূত্রে গাঁথা হয়েছে। এটা ছিল স্থাপত্য শিল্পের সৃজনশীল প্রকাশ। ১৯৬০ এর দশকে ফুলবাড়িয়া, ঢাকার একমাত্র রেলষ্টেশনের সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে কমলাপুরে রেলস্থাপনা গড়ে উঠে। সেই সময় কমলাপুর ছিল পুরোপুরি ধানক্ষেত। তৎকালীন সময়ে সদ্যপ্রতিষ্ঠিত বুয়েটের আমেরিকান শিক্ষক রবার্ট বোগেই-এর তত্ত্বাবধানে এটি নির্মিত হয়। ১৯৬৯ সালে এখানে রেল চলাচলের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।

 

৩৩. চামেলী হাউসঃ

ঔপনিবেশিক স্থাপত্যকলা একটা চমৎকার নিদর্শন চামেরী হাউস। চামেরী হাউস মূলত: নির্মিত হয়েছিল ইংরেজ প্রশাসকদের জন্য ১৯২৬ সালে! ১৯০৫ সালে ঢাকা পূর্ববঙ্গ এবং আসামের রাজধানী হবার পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং মিন্টো রোড এলাকায় অনেকগুলো ভবন নির্মান করা হয়েছিল প্রশাসকদের থাকবার জন্য, চামেরী হাউস তাদের মধ্যে একটি! রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ঢাকা পরিভ্রমনের সময়ে এই চামেরী হাউসেই থেকেছিলেন! বর্তামনে অবশ্য আপনারা এই ভবনের সামনে নামফলকে দেখতে পাবেন “চামেলি হাউস”! যদিও চামেলি আরব চামরী শব্দের অর্থ একই, তবে মুনতাসির মামুন উল্লেখ করেছেন আদিতে ভবনটি পরিচিত ছিল ‘চামেরী হাউস’ নামেই।

 

৩৪. বিউটি বডিং:

পুরোনো ঢাকার বাংলাবাজারে অনেক ইতিহাসের সাক্ষী বিউটি বোর্ডিং। পুরাতন হলুদ রঙের কয়েকটা দোতলা ঘর, আবার দেয়ালের কোথাও কোথাও রং উঠে যাওয়া ফ্যাকাশে ভাব। বোর্ডিংটার মাঝখানে আছে সুন্দর ছোট একটা বাগান। বিউটি বোর্ডিং- এর বর্তমান মালিক তারক সাহা। তার  বাবা আর কাকা মিলে ১৯৪৯ সালে বিউটি বোর্ডিং ও রেস্টুরেন্টটি গড়ে তোলেন। প্রথম দিকে এখানে শুধুই রেস্টুরেন্ট ছিল পরে আবাসিক ব্যবস্থাও করা হয়। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময় এখানেই পাকিস্তানী হানাদারদের গুলিতে তার বাবা সহ আরও ১৭ জন শহীদ হন। সেই বীর বাঙ্গালীদের স্মৃতি তিনি সংরক্ষণ করে রেখেছেন আজও।

 

৩৫. জল্লাদখানা বধ্যভূমি স্মৃতিপীঠঃ

ঢাকার মিরপুর সেকশন-১০, ব্লক-ডি এ অবস্থিত এই স্মৃতিপীঠ। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় খনন করে এখানে ৭০টি মাথার খুলি সহ অসংখ্য অস্থিখন্ড পাওয়া গেছে। জল্লাদখানার সেই অভিশপ্ত পাম্প হাউসে কি ঘটেছিল তার ইতিহাস কক্ষের দরজার উপরে বাংলা ছাড়াও আরও পাঁচটি ভাষায় লেখা রয়েছে । ভেতরে দেয়ালে  লেখা রয়েছে এখানে শহীদদের  নাম, রয়েছে সেই অভিশপ্ত মৃত্যুকুপ। এছাড়া এখানে রয়েছে দেশের চারশত বধ্যভূমির তালিকা, প্রধান ছয়টি বধ্যভূমি থেকে  আহরিত মাটি, বধ্যভূমির ইতিহাস,আলোকচিত্র সংকলন ইত্যাদি।

 

Search Keywords:

dhaka tourist spot bangla, ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান, 1 day tour place near Dhaka, Places to visit in Dhaka for couples, Places to visit in Dhaka with family, Places to visit in Dhaka at night, ঢাকার দর্শনীয় স্থান সমূহ, Fun places in Dhaka, Beautiful places in Dhaka, dhakar dorsonio sthan, ঢাকা এর দর্শনীয় স্থানসমূহ, ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান, ঢাকার দর্শনীয় স্থান খোলা বন্ধের সময়সূচী ২০২৩, পুরান ঢাকার দর্শনীয় স্থান, ঢাকার দর্শনীয় স্থানের সময়সূচী, ঢাকা বিভাগের দর্শনীয় স্থান সমূহ, ঢাকার পার্ক সমূহ, ঢাকার আশেপাশে ঘোরার জায়গা, ঢাকা বিভাগের দর্শনীয় স্থান স্থাপনা স্থানীয় খাবার,


Powered by Blogger.